ভোলার চরফ্যাশন, হাজারীগঞ্জ রিক্সা শ্রমিকদের মানববন্ধন

অন্যান্য

হাওলাদার শাহাবুদ্দিন :
হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন রিক্সা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছেন শ্রমিক লীগের কিছু নেতারা। এ বিষয়ে ৩০/০৮/২০২০ রবিবার সকাল ১১টায় রিকশাচালকদের মানববন্ধন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে।

সেখানে বক্তব্য দেন রিক্সা শ্রমিক জয়নাল আবদীন ৪৫ তার বক্তব্যে শিপন পাটোয়ারী সভাপতি হাজারীগঞ্জ শ্রমিক লীগ তার কাছে বিচার চেয়ে তিনি বলেন। আমাদের কাছে আপনার শ্রমিক লীগের কিছু নেতারা প্রতি দৈনিক (২০ টাকা) করে চাঁদা চাইছেন।তিনি চাঁদা দিতে না খোঁজ করে বলেন কেন চাঁদা চাইলেন এর উপযুক্ত বিচার করবেন।

দ্বিতীয় বক্তব্যে মোঃ খালেক ৪০ তিনি বললেন আমরা এর জবাব চাই কেন আমাদের থেকে চাঁদা চাইলেন শ্রমিক লীগ নেতারা।

ওই মানববন্ধনের শিপন পাটোয়ারীর বক্তব্যে তিনি বলেন।
রিক্সা শ্রমিক মানববন্ধন করেছেন সেটাও আমি জানি না । আমি খবর পেয়ে এখানে আসি। আপনাদের অভিযোগ এ ব্যাপারে আমি আদৌ কিছু জানিনা তবে আমি দেখব যে কারা রিক্সা শ্রমিকদের কাছ থেকে দৈনিক ২০ টাকা করে চাঁদা চেয়েছেন এবং তিনি ওই বক্তব্যে আরও বলেন আপনারা স্বাভাবিক হন আমি আপনাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখব প্রয়োজনে মন্ত্রীমহোদয়কে জানাবো বলে আশ্বাস দেন হাজারীগঞ্জ শ্রমিকলীগ সভাপতি শিপন পাটোয়ারী ।

তারপর সেখানে মানববন্ধন শেষে তারা প্রায় দুইশত রিক্সা স্থানীয় চেয়ারম্যান বাজারে শোডাউন করেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিপন পাটোয়ারী বলেন যে এব্যাপারে কে বা কারা তাদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন আমি জানিনা তবে আমি শীঘ্রই এটা সমাধান করব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিকশাচালক উনি বলেন তাদের কাছ থেকে হাজারীগঞ্জ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম চারপাশি ও শ্রমিক লীগ নেতা নিরব শিকদার এবং শ্রমিক লীগের আরো কিছু সংখ্যক নেতারা একত্রিত হয়ে এই চাঁদা চেয়েছেন।
রিকশা চালকরা আরো বলেন শিপন পাটোয়ারী এটার সাথে জড়িত নয়। এবং হাজারীগঞ্জ এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জড়িত নন বলে রিকশাচালকরা দাবি করেন। এবং আরো বলেন অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কাছে তারা গেলে তারা বলেছেন যে এটার সমাধান করে দিবেন।
এই ব্যাপারে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কালাম চারপাশির সাথে কথা বললে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন এটা মিথ্যা এবং বানোয়াট ভিত্তিহীন।আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না তারা মানববন্ধন করছে সেটাও আমি জানি না। কারো কাছে কোনো টাকা চাইনি বরং আমি তাদের শোডাউন দেখে তাদের কাছ থেকে জানতে চাইলাম।
কি ব্যাপার কিসের শোডাউন তখন আমাকে রিকশাচালক মন্নান, আলমগীর, হানিফ, বলেন তাদের কাছ থেকে নাকি শ্রমিক লীগের কারা চাঁদা চেয়েছেন। পরে আমি তাদেরকে বললাম হাজারী গঞ্জের রাস্তাঘাট সরকারি এবং এটা পৌরসভা নয় এখানে কাউকে কোন টোল বা চাঁদা দিবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.