বগুড়ায় নির্মম অত্যাচারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানবন্ধন

অপরাধ

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হাজারকী উচ্চ বিদ্যালয়ের একক কর্তৃত্বের ক্ষমতাধারী নির্মম অত্যাচারী প্রধান শিক্ষক ফরিদুলের বিরুদ্ধে শতশত এলাকাবাসী মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। বিদ্যালয়ের দাতা ও নিরীহ পরিবারের প্রতি মামলা হামলাসহ হয়রানির শত অভিযোগ সঠিক তদারকি না করায় কাজে আসছেনা বলে অভিযোগ সাধারন এলাকাবাসীর। তাদেও দাবি যে শিক্ষকের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবে ছাত্ররা তিনিই এলাকায় সন্ত্রাসের রজত্ব কায়েম করেছেন কোন শিক্ষার বলে। এমন শত শত প্রশ্ন এলাকার আপামর জনতার। শুধু তাই নয় এর প্রতিবাদ করলেই সে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হবেন। উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা ও নিরীহ পরিবারের প্রতি মামলা হামলাসহ হয়রানি মূলক শত অভিযোগ বিচার প্রার্থীরা এখন নিরাপত্তা হীনতায়। তাদের দাবি এতো অন্যায় অত্যাচার ও নির্মমমতার পরও কোন না কোনভাবে আইনের ফাঁকে বেরিয়ে যায় ঐ প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিক্ষক সদস্য ছাড়া বাকিদের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন অপতৎপরতায় তার বিরুদ্ধে অজানা কারণে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর। ফরিদুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০১০ সালে দুবলাই গ্রামে কৃষক রফিকুল ইসলামের জমি থেকে ৬০ মন ধান জোর করে কেটে নেওয়ায় নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা। ১০ আগস্ট ২০২০ সালে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৪৮১ নং দাগের উপর ১টি ইন্টিকড়ই গাছ যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা কেটে নেওয়ায় সহকারী কমিশনার ( ভূমি) নন্দীগ্রাম বরাবরে হাজারকি হিন্দু পাড়ার শ্রী পরিমল চন্দ্র অভিযোগ দিলেও তার কোন প্রতিকার হয়নি। এরকম শত অভিযোগ ঐ স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার অপতৎরতায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মুখ খুলতে সাহস পাননা তার গড়া সন্ত্রাসী বাহিনীর মামলা হামলার ভয়ে। সম্প্রতি ফরিদুল ইসলাম তার অনৈতিক কাজের বিরোধী ৬ জনের বিরুদ্ধে জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নন্দীগ্রাম আমলি আদালতে মোকাদমা নং ১২৯ সি ২০২০ দায়ের করলে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বাদির মামলায় উল্লেখ করা ঘটনাস্থলেই শতশত এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক ফরিদুলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর করতে হবে শ্লোগানে স্লোগানে একত্রিত হয়ে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এসময় এলাকাবাসী উপরে উল্লেখিত অভিযোগের পাশাপাশি ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আসাদ আলী প্রাংকে। ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি আসদ আলী প্রাং ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৩/২০১৪ অর্থবছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য দুই মেট্রিকটন চাল যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা অবকাঠামো নির্মানের জন্য দিলে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম অন্য সদস্যদের না জানিয়ে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে তা আত্মসাত করেন বলে অপর এক মামলা নং ১৯৯/১৭ নন্দীগ্রামে উল্লেখ করা হয়। একইসাথে ঐ মামলায় একইভাবে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এবং সভাপতির মৃত্যুর পর নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রবিধানমালার ৩১ ধারার বিধান অনুসরণ না করে সদস্যদের না জানিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষক সদস্যদের নিয়ে জাল রেজুলেশনের জাহিদুর রহমান সোনারকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এর প্রতিবাদ করায় সভাপতি মরহুম আসাদ আলীর পুত্রসহ ৬জনকে আসামী করে একটি চাঁদাবাজী মামলা দেয়ায় এলাকাবাসী ফঁসে উঠেছে প্রধান শিক্ষক ফরিদুলের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে এনে সঠিক তদন্ত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে অপসারনসহ মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষদের হয়রানির জন্য কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.