বগুড়ায় আবারও বন‍্যার আশঙ্কা যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া অঞ্চলের বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। জেলায় প্রভাহিত প্রধান নদী যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আবারো নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। পাহাড়ি ঢলের কারণে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার কিছু নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বগুড়ায় জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার উপর দিয়ে প্রভাহিত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বাঙালি নদী পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বগুড়া সদরের করতোয়া নদীতেও। স্থানীয়রা বলছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে যেতে পারে। ফলে ৪র্থ দফায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত জুলাই মাসের শেষে ও পুরো আগস্ট মাস তিন দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দেয়। এবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর্থ দফায় বন্যার আশঙ্কা করছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায় কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীর পানি কমতে শুরু করবে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার আমন ধান শাকসবজি ও চরাঞ্চলের কৃষকের আউশ, মরিচ রোপা আমন, বীজতলা, শাকসবজি তলিয়ে গেছে। ৪র্থ দফায় বন্যা দেখা দেওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। ৪র্থ দফায় বন্যায় যেসব এলাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে সে এলাকাগুলো হলো, সারিয়াকান্দি পৌরসভার দক্ষিণ হিন্দুকান্দি, ছাগলধরা, ডোমকান্দি, নারচি নিজ বরুরবাড়ী, হাটশেরপুর ইউপির হাসনাপারা, শাহানবান্দা। এছাড়াও চর এলাকার ৫ টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা ও বাঙ্গালী উভয় নদীর পানি যে কোন সময় লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। এজন্য নদী পারের লোকজন আতংকে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.