নারী ক্রিকেট দলের জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে গমন

খেলা

ক্রীড়া ডেস্ক রিপোর্ট :
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দুই আসরে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবার কি শূন্য হাতে ফেরার হ্যাটট্রিক হতে যাচ্ছে,মেয়েদের প্রত্যাশা এবার দুটি ম্যাচে জয় তারা পাবেন। অস্ট্রেলিয়ায় উড়াবেন লাল-সবুজের পতাকা।

দুই জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে অঘটন ঘটাতে হবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাধিক ম্যাচ খেললেও তাসমান পাড়ের দুই দেশের বিপক্ষে কখনো ম্যাচ খেলেনি।

জয়ের জন্য বাংলাদেশ টার্গেট করছে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা থাকলেও শক্তিধর ভারতকে কি বিশ্বমঞ্চে হারাতে পারবে বাংলাদেশ? টাইগ্রেস শিবিরের বিশ্বাস, পারবে তারা। এর আগে এশিয়া কাপের মঞ্চে বিগ ফাইনালে তাদেরকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল সালমাবাহিনী। 

রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। মূল মঞ্চে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তিনটি বিসিবির আয়োজনে। দুটি আইসিসির। থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রস্তুতি শেষ করবে মেয়েরা। এর আগে বিসিবি আয়োজন করেছে তিনটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তিনটি ম্যাচই হবে গোল্ডকাস্টে।

ঢাকা ছাড়ার আগে অধিনায়ক সালমা শুনিয়েছেন পুরোনো প্রত্যাশার কথা, আমাদের এবার লক্ষ্য হচ্ছে সামনে যেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাইং খেলতে না হয়। ম্যাক্সিমাম আমাদের দুটি ম্যাচ জিততে হবে, ওই লক্ষ্য নিয়েই আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি ।

সালমার সুরে সুর মিলিয়েছেন দলের পেসার জাহানারা আলম, আমরা মনে করছি এই বিশ্বকাপ আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। এখানে যদি আমরা ভালো করতে পারি আমাদের নারী ক্রিকেটকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। একটা ম্যাচ যদি জিতি তাহলে র‌্যাকিংয়ে চলে আসবো। আমাদের লক্ষ্য দুটো ম্যাচ জেতা।

বাছাই পর্ব পেরিয়ে প্রতিবার বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। সামনের আসর থেকে সেই পর্ব এড়াতে চাচ্ছে দল। এজন্য অসাধ্য সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু অতীত রেকর্ড বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছে না। 

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে জয় মাত্র ২টি। ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে সে দুটি জয় ছিল আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পরের দুই আসরে ১১ ম্যাচে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের।

তবে নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সালমা, দলে যারা নতুন আসছে তারাও ভালো করছে। আমি আশা করি যারা ম্যাচ পাবে তারা ভালো করবে। অভিজ্ঞ যারা আছে তারা সবাই ভালো করবে সেটাই আশা করছি। কারণ আমাদের বিশ্বকাপ দলটা অনেক ভালো হয়েছে।

এবার নিয়ে টানা চারটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সালমা। নিজের সেরাটা দিতে মুখিয়ে অধিনায়কও, অনেক ভালো লাগছে যে প্রত্যেকটা বিশ্বকাপেই আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমি চেষ্টা করবো আমার সেরাটা দেয়ার জন্য। চেষ্টা করবো সব মেয়েদের কাছ থেকে যেন ভালোভাবে সেরাটা আদায় করে নেয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.