কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ বাইশগাঁও এর প্রবাসী তোফায়েলের উদ্যোগে গরীবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

অন্যান্য

মনোহর প্রতিনিধি :
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ায় গত ৮ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষনা করেন। এর পর থেকে সাধারন মানুষ কর্মহীন হয়ে যখন খাদ্য সঙ্কটে হতাশায় দিনযাপন করছে। ঠিক সে সময় বাঁইশ গাঁও গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযুদ্ধা বাইশগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আব্দুল মালেক এর ছেলে তরুন উদিয়মান সমাজ সেবক প্রবাসী তোফায়েল আহমেদের উদ্যোগে দুস্থ্য অসহায় দরিদ্র কর্মহীন প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।গত ১৫ মে শুক্রবার সকাল থেকে ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের দুস্থ্য দরিদ্র অসহায় পরিবারকে এই খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।এ সময় ইউনিয়নের ছাত্রলীগ যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মিরা উপস্থিত থেকে এই ত্রাণ বিতরন করেন। প্রবাসী তোফায়েলের নিজস্ব অর্থায়ণে দেশের অসহায় মানুষের পাশে থাকার মানবিকতার চেতনা থেকে তিনি এই ত্রাণ বিতরণ করেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই অবস্থান করে বিদেশের মাটিতে যখন বিশ্বে করোনার সঙ্কট নিয়ে প্রবাসীরা নিজেদের কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে ছিলেন। ঠিক সেই সময় পিতার আর্দশকে বুকে ধারন করে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ অনুসরণ করে বিদেশে থেকেও প্রায় তিন লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন এই যুবক । যার দেশাত্ববোধ আর জন্মভূমির প্রতি অগাধ ভালবাসা সেই পারে সমাজের অন্যায় অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সমাজেকে এগিয়ে নিয়ে সমাজ সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে । যার ছোঁয়ায় সমাজের অবহেলীত সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান গুলি উজ্জিবীত হয়ে উঠে। জনসেবায় তিনি হয়ে উঠেন এক উজ্জল নক্ষত্র । সে রকম এক তরুন উদিয়মান যুব সমাজের অহংকার মনোহর গঞ্জ উপজেলা বাইশগাও গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সমাজ সেবক দানশীল শিক্ষানুরাগী ও ধর্ম প্রিয় ব্যাক্তিত্ব বাইশগাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম আব্দুল মালেক এর সুযোগ্য সন্তান তোফায়েল আহমেদ। যিনি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ণের লক্ষে দেশে ও প্রবাসে রাজনীতিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। বিগত দিনে তিনি সমাজের দরিদ্র গরীব অসহায় অবহেলীত নির্যাতীত মানুষের পাশে থেকে তাদের নানা ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে এক মানবিক গুনাবলীর দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। যে সময় বাইশগাও ছাত্র শিবিরের ঘাঁটি ছিল। সে সময় তোফায়েল বীর মুক্তি যুদ্ধার ছেলে হিসাবে পিতার আর্দশ ও নির্দেশ মতো ছাত্র লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে ধারন করে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিল এক কালো অধ্যায় সে সময় বিএনপির ও জামাত শিবির এর সাথে কঠিণ অবস্থানে থেকে বাইশ গাঁও আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মালেক। যিনি রাজনীতি করতে গিয়ে বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যিনি শিক্ষা জীবন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে তার পরিবারের উপর নানা নির্যতন নেমে আসে।সে মরহুম আব্দুল মালেকের ছেলে তোফায়েল পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি করছেন।তিনি শতভাগ সততার সাথে রাজনীতিতে থেকে মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল মালেক এলাকায় উন্নয়ন ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। পিতার মতো তোফায়েল প্রবাসে থেকেও এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা ও দুস্থ্য দরিদ্র মানুষের সেবা দিয়ে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা সুষ্টি করেন। যার কারনে এলাকায় সামাজিক কাজে তার একটা গ্রহন যোগ্যতার সৃষ্টি হয়েছে।এলাকার সাধারন মানুষ সুঃখে দুঃখে তাকে পাশে পেতে চায়। তোফায়েল বয়সে অনেক তরুন হলেও সামাজিক যে কোন কাজে সবার আগে থেকে কাজ করার যে উদ্দীপনা দেখা যায় সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।প্রবাস জীবনে তোফায়েল ডুবাই যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। সেখানে দেশ থেকে যে সকল কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ নেতারা যান সেখানে তোফায়েলের একটি ভুমিকা থাকে।তরুন উদিয়মান এই নেতার রাজনীতি ও সমাজ সেবায় যে ভুমিকা দেখা যায়। তিনি তার পিতার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে আরো ভাল কিছু করতে পারবে বলে এলাকার সাধারন মানুষ মনে করে।এই প্রতিবেদক তার ভবিৎশত স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন আমার একটাই স্বপ্ন এখন জনকল্যানে কাজ করা ।এলাকার অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বার্থে যদি আমরা কাজ করতে পারি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।।তিনি আরো বলেন শিক্ষা ক্ষেত্রে আমি এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি’ প্রদান ও মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানায় আমি আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছি । ভবিৎশতে আরো ভাল কিছু করার প্রত্যাশা আছে।এছাড়া বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ডিজিটেল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যে কর্মসুচী দিবে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেটা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্বক ভাবে কাজ করবো।এছাড়া মাননীয় স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি আমাদের অহংকার তিনি এলাকার উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন।সেটা লাকসাম মনোহর গঞ্জ বাসীর জন্য একটি অনন্য দুষ্টান্ত। আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করতে আওয়াসী লীগের নেতা কমিদের আরো ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।আগামী দিনে মন্ত্রী মহোদয়ের কমি হিসাবে কাজ করতে চাই। তিনি আমাদের পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে পাশে থাকার সুযোগ দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

এখান থেকে আমার কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।আল্লাহপাক আমাকে যতোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আশা করি আমি সৎ ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতি করবো।বর্তমানে দেশে করোনা নিয়ে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেটা থেকে উৎরণের জন্য বিত্তবান সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই দেশের অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলি বাঁচবে। তারা বাঁচলে দেশ বাঁচবে দেশের অর্থনীতি বাঁচবে।আমি আমার দেশের এলাকার মানুষকে ভাল বাসি যতোদিন করোনা থাকবে ততোদিন আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.