রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করলে ব্যবস্থা

স্বাস্থ্য

অনলাইন ডেস্ক :
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রয়কারী ফার্মেসি মালিকদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারকারীদের প্রতিও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে ওষুধ বিক্রয়কারী ফার্মেসি মালিকদের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

১. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতিরেকে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বা বিতরণ করা যাবে না।
২. স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয়ের ক্যাশমেমো প্রদান করুন।
৩. অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি রেজিস্টারে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করুন।
৪. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতিরেকে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বা বিতরণ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্যাদি সংবলিত রেজিস্টার সংরক্ষণ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
৫. রোগী অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণ কোর্স যাতে গ্রহণ করে সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করুন এবং পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ নিশ্চিত করুন।

এছাড়াও গণবিজ্ঞপ্তিতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারকারীদের প্রতিও বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

১. রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়, সেবন বা ব্যবহার করুন।
২. বিক্রেতার স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ অ্যান্টিবায়োটিক ক্রয়ের ক্যাশমেমো সংরক্ষণে রাখুন।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সঠিক মাত্রায়, সঠিক পদ্ধতিতে পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।
৪. সঠিক মাত্রায়, সঠিক পদ্ধতিতে পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে রোগ-জীবানু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
৫. শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করলেও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.