মনপুরায় মহানবী (সঃ)কে নিয়ে কুটুক্তি করায় হিন্দু মুসলানদের মধ্যে দাওয়া পাল্টা দাওয়া আহত অনেক

ধর্ম

বাহাদুর চৌধুরী :
ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে মনপুরা। ওসি সাকাওয়াত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও সন্ধ্যার পর থেকে গ্রেফতারকৃত শ্রীরাম চন্দ্র দাস এর ফাঁসির দাবীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে সাধারন সানুষ। এসময় তারা ফের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করে। এতে চরম আতংকিত হয়ে পরেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

এর আগে জুমার নামাজের পরে মহানবী (সঃ) কে কটুক্তি করায় মনপুরা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা স্টাটাস ফেইজবুকে শেয়ার করার অভিযোগে শ্রীরাম চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবক কে দুপুরেই আটক করেছে পুলিশ।

ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমা’আর নামাজে পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় মুসুল্লিরা, বিক্ষোভকারীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুইটি দোকান ভাংচুর করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। ঐ সময় ১০জন আহত হয়ছে। আহতরা হলেন, ইব্রাহীম (৩৮), করিম (২৫), ছাইফুল (৩৫), রাজিব (১৯), আলাউদ্দিন (৪৭), সানাউল্লাহ (৩৩)। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত পুরো মনপুরা উপজেলায় পুলিশের টহল বারিয়ে পরিস্থিতি নায়নতনে নিলেও সন্ধার পর থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু করে এবং কয়েকটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর ভাংচুর করে। এতে পুরো মনপুরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে । হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন চরম নিরাপত্তা হিনতায় পরেছে, সর্বশেষ খবর লিখা পর্যন্ত চরম আতংকে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। ভোলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন ভোলার হিন্দু নেতারা।

এ ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা জেলা মুসলিম ঐক্য পরিষদের সভাপতি,মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম। তারা এ ঘটনার সাথে প্রকৃত অপরাধিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.