বগুড়া কাহালুতে দাদন ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেনের ভূয়া এনজিওর ফাঁদে সর্বশান্ত এলাকাবাসী

অপরাধ

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া কাহালু উপজেলায় মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সুদারু মোজাম (৪০)কাহালুর বাজার, দূর্গাপুর মালঞ্চা, মহরাবানী, দরগাহাট, মুরইল / শুধু কাহালু উপজেলায় নয়। সম্প্রতি জেলার পুরান বগুড়া, নামাজগড়, ভবের বাজার, জামিন নগর, সেউজগাড়ী, নিউমার্কেট সহ বিভিন্ন হাট বাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা যায় বগুড়া কাহালু থানার পাল্লাপাড়া গ্রামের গুর বিক্রেতা মোসলেম উদ্দীন মসোর ছেলে মোজাম্মেল হক ওরফে দাদন মোজাম হিসাবেই এলাকায় সর্বাধিক পরিচিত। বগুড়া কাহালু উপজেলার সোনালী শ্বপ্ন উন্নয়ন সংস্থা ( এস এস ডি ও) নিবন্ধন- বগুড়া /২২০/১৩ পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সুদারু মোজাম (৪০) কাহালুর বাজার, দূগাপুর মালঞ্চা, মহরাবানী, দরগাহাট, মুরইল /বগুড়ার পুরান বগুড়া, নামাজগোড়, ভবের বাজার, জামিন নগর, সেউজগাড়ী, নিউমার্কেট বিভিন্ন হাট বাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সমবায়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সুদের রমরমা ব্যবসা করার লক্ষ্যেই স্থানীয় সমবায় অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই সমিতির মাধ্যমে নিজেদের এনজিও পরিচয় দিয়ে নামে বেনামে সদস্য সংগ্রহ করে কোনো রকমে ঋণ গছিয়ে দেয়া হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষকে। বগুড়া কাহালুতে কথিত সোনালী স্বপ্ন উন্নয়ন সংস্থা ( এস এস ডি ও) হেড অফিসঃ দেশের নামকরা এনজিওর মত সঠিক দিক নির্দেশনা না দিয়ে নাম মাএ পাশ-বহি ছাপিয়ে কিছু রেজিস্ট্রি খাতায় ডেবিট-ক্রেডিট খাতা রেজ্যুলেশন বহি সহ। উপজেলা সমাজ সেবা চাহিদা মাফিক কাগজপত্র নিয়ে অফিস সাজিয়েছেন দাদন সুদ কারবারি মোজাম। কৌশলে প্রতিমাসে আমানত সংগ্রহ সেবামুলক কাজে মিথ্যা ভাউচার, বডিমিটিং সহ সামান্য ২-৪ লাখ টাকা আমানত, বিতরন, দেখিয়ে সমাজ সেবা অফিস কে ম্যানেজ করে সরকারী আয়কর না দিয়ে খাতা পএে অফিসিয়াল ভাবে স্ব স্ব কর্মকর্তাদের কে দিয়ে আপগ্রেড সিন করে লাখ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকিবাজী করে আসছে। স্ত্রী আত্মীয় স্বজনের নামে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছে কথিত এনজিও পরিচালক সুদখোর মোজাম ।
মোজাম দাদনের কথিত কিস্তি আদায়ঃ ভুক্তভোগী মোছাঃ মর্জিনা বেগম মোছাঃ ফজিলা বেগম ছফেলা, শাপলা,ময়না, মন্টু মিয়া ককিল,টগর,জুয়েল,লিটন সহ আশেপাশে অনেকেই এই সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন সরকারি ছুটি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার দিনে রাতে কিস্তি আদায় করছে। সুদখোর মোজামের ফাঁদে পা ফেলে অনেক এলাকা ছাড়া। এক দিন কিস্তি না দিতে পারলে ভূক্তভোগীদের ধরে নিয়ে এসে আটকে রেখে টাকা পরিশোধ করে নিয়ে ছেড়ে দেন। এমনকি তার অফিস যারা চাকরি করতেন কেউ চাকরি ছাড়তে চাইলে। যে কোন মামলায় ফাসিঁয়ে দেন।ভুক্তভোগী তার অফিসে কর্মরত একজন মহিলা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানায়। আমি এখানে চাকুরী করতে চাই না। আমি চাকুরী ছেড়ে দিলে আমাকে চেকের মামলায় ফেঁসে দিয়েছে। দাদন মোজামের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগঃ এক অনুসন্ধানে জানা গেছে মাঝে মাঝেই থানায় অভিযোগ যায়। কিন্তু আইনগত কোন ব্যবস্থা হয় না। মোজাম কৌশলে সব ম্যানেজ করে। এরকম থানায় অভিযোগকারী মনছুর রহমান,ফারজানা আক্তার সহ বেশ কয়েক জন বলে আমরা কয়েক বার থামায় অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন ব্যাবস্থা হয়নি। এরকম আরও সদস্য আছে টাকা শোধ হয়েছে বিনিময়ে জমাকৃত সঞ্চয় ব‍্যাংকের চেক ও সাদা স্ট‍্যাম্প ফেরত পায়নি। টাকা দেওয়ার নাম করে কৌশলে নেওয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সই করা একাধিক চেকের পাতা ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প। টাকা না দিতে পারলে শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। আইনের ঢাল হিসাবে থাকে চেক স্ট্যাম্প। কাহালু উপজেলার সমবায় অফিসার জানান সমিতিগুলো কোনো ভাবেই আইনের বাইরে পরিচালিত হতে পারে না। যারা নিজস্ব কমিটি করে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে রেজিস্ট্রেশন বাতিল সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাহালু উপজেলা সমবায় অফিসার বলেন কেউ সমবায় নীতিমালার বাইরে নয়। যদি কেউ সমবায় নীতিমালার বাইরে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সমবায়ের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসী সুদখোর দাদন ব্যবসায়ী মোজাম এর হাত থেকে রেহায় পেতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। পরবর্তী অনুসন্ধানে পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে|

Leave a Reply

Your email address will not be published.