বগুড়ায় পিতা-পুত্র সহ আরও আক্রান্ত ৩৫

স্বাস্থ্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৩৫ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩শ’ অতিক্রম করল। গত ১ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫৭। রোববার নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৫জন ও ৯জন মহিলা ও ১জন শিশু রয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফিজুর রহমান তুহিন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে বগুড়ার ১৭৭টি নমুনার মধ্যে ৩৫টি পজিটিভ ছিল। জয়পুরহাটের ৪টির মধ্যে ২টি পজিটিভ এবং সিরাজগঞ্জের ৭টির মধ্যে সবকটিই নেগেটিভ ছিল। এদিকে গতকাল প্রথমবারের মত বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে ৫জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং ৫ জনের ফলাফলই নেগেটিভ আসে।
ডা. তুহিন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৩৫ জনের মধ্যে সদরের ১২জন, শেরপুরের ৭ জন, গাবতলীর ৪ জন, ধুনট, সারিয়াকান্দী এবং নন্দীগ্রামের ৩ জন করে রয়েছেন। এছাড়া দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ ও শাজাহানপুরের ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন। সদরে আক্রান্তদের মধ্যে চেলোপাড়ার ৫ জন, মাটিডালির পিতা-পুত্রসহ ২ জন এবং সেউজগাড়ি, জলেশ্বরীতলা ও রাজাবাজারের ১ জন করে আরও ৫ জন শনাক্ত হয়েছেন।
ডাঃ তুহিন জানান জেলায় এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৫শ’ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এরমধ্যে ৫ হাজার ২শ’ জনের ফলাফল এসেছে। তারমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৫৭ জনের। শনাক্তদের মধ্যে পুরুষ ২৬৫, নারী ৭৪ এবং শিশু ১৮। শূন্য থেকে ১৭ বছর বয়সের আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের রয়েছেন ১২৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের রয়েছেন ১৬৫জন, ৫১ থেকে ৭০ বছর বয়সের ৪৩জন এবং ৭০ এর উপরে যাদের বয়স তারা ৩জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ১৯৮জন, শাজাহানপুরে ২৭জন, গাবতলীতে ২৫জন, কাহালুতে ১৪জন, শেরপুরে ২২জন, সারিয়াকান্দীতে ১৫ জন, সোনাতলা ও আদমদীঘিতে ১১ জন করে এছাড়া শিবগঞ্জ, দুপচাঁচিয়া ও ধুনট উপজেলায় ৯ জন করে। নন্দীগ্রাম উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ জন।
ডাঃ তুহিন আরও বলেন, গত ১ এপ্রিল থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব চালু হয়েছে। ওই ল্যাবে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে বগুড়ার নমুনা ছিল ৫ হাজার ২শ’ জয়পুরহাটের ১ হাজার ৪৫৯ এবং গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ছিল ১২১টি নমুনা।
তিনি আরও জানান, নতুন আক্রান্তদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে এদের মধ্যে কারও অবস্থা জটিল মনে হলে তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.