বগুড়ায় কারন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যুবকদের রোদে বসে রেখে শাস্তি

অপরাধ

মতিন খন্দকার টিটু :
কারণ ছাড়াই শহরে এসে অযথা ঘোরাফেরা করা যুবকদের রোদে বসে রেখে সাময়িক ব্যতিক্রম ধর্মী শাস্তি দিয়ে শহরে না আসার প্রতিশ্রুতি নিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে বিনা কারনে চলাচল না করার ঘোষনা সরকার দিলে প্রথম দিকে অনেকেই মানছিল। মাঝপথে এসে আবারও চলাচল শুরু করে। সেনা বাহিনী, পুলিশ, র্যাব সদস্যরা আবারও সক্রিয় হলে তা অনেকটা থেমে যায়। আবারও নিয়ম ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নামে বিশেষ করে যুবকরা। আজ রবিবার বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় চেকপোষ্ট বসায় সেনা বাহিনী, পুলিশ, র্যাব সদস্যরা।
শহরে মোটর সাইকেল, কারসহ পায়ে চলা লোকদের বাহিরে আসার কারন জিজ্ঞাসা করা হয়, যানবাহনের উপযুক্ত কাগজ ও শহরে আসার গ্রহনযোগ্য কারন না বলতে পারায় যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং পায়২েচলা যুবকদের বীরশ্রেষ্টস্তম্ভের সামনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আধাঘন্টা বসে থাকার শাস্তি দেয়া হয়। পরে কারন ছাড়া শহরে না আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সুত্রাপুরে এক যুবক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে বিদ্যুৎ বিল দিতে এসেছে। কিন্তু তার কাছে উপযুক্ত কোন কাগজ নেই। বনানী থেকে আসা আরেক যুবক বলে, সে ওষুধ নিতে এসেছে। বনানীসহ আশেপাশে ঠনঠনিয়া, মফিজ পাগলার মোড়ে ওষুধের বড় দোকান থাকলেও সাতমাথায় আসায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

সাতমাথায় অবস্থানরত বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আছলাম আলী জানান, কোন ভাবেই নির্দেশনা মানতে চাচ্ছেনা। করোনা ভাইরাস থেকে জেলাকে সুরক্ষার জন্যই প্রাথমিক ভাবে আমরা এই শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি। ধিরে ধিরে আরো কঠোর হব আমরা। এছাড়া কোন উপায় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.