বগুড়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া পৌরসভার ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড ও কলোনী বাজার এলাকা থেকে সূত্রাপুর পর্যন্ত রাস্তার পাশে অবস্থিত ফুটপাতের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল আনুমানিক ১১ টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড ও কলোনী বাজার এলাকা থেকে সূত্রাপুর রাস্তার পাশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম রাশেদুল ইসলাম ও এ. টি. এম কামরুল ইসলাম নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ. টি. এম কামরুল ইসলাম বলেন, ফুটপাতের উপর সরকারি জায়গা দখল করে ফেরিওয়ালা বা কোন অবৈধ দখলদার দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা স্পষ্টভাবে বলা থাকলেও এসব যেন ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ এমন অবস্থা! স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সমঝদার কোন ব্যক্তি বা সচেতন নাগরিক কেউ এর বিরুদ্ধাচরণ করলে অবৈধ দখলদার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অসংলগ্ন আচরণ করেন এবং এমনভাবে কটুক্তি করেন যেন জায়গাটা তিনি ওয়ারিশ সূত্রে বা খরিদমূলে পেয়েছেন। বগুড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এসব অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাটগুলো উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে এবং পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে । ২১ জুন সকাল ১০টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করি ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম রাশেদুল ইসলামের সাথে । করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন ও রেড জোন’ এলাকায় প্রতিদিনের মত আজকেও মাননীয় জেলা প্রশাসক, বগুড়া কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে যান চলাচল ও দোকানপাট খোলা রাখায় তাদের সরকারি আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.