বগুড়ায় এক যুবক আবিস্কার করলো করোনা’র ভেন্টিলেটর ও জীবাণুনাশক পোশাক

অন্যান্য

বিশেষ প্রতিনিধি,বগুড়া থেকে :

এগুলো তিনি তার নিজস্ব কারখানায় তৈরি করছেন দাবি করে গতকাল গণমাধ্যমে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তাকে সহযোগিতা করা হলে দ্রুততার সাথে ভেন্টিলেটন মেশিন এবং চিকিৎসকদের জন্য জীবাণুনাশক পোশাক তৈরি করতে পারবেন। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করে তিনি সফল হয়েছেন বলেও দাবি করেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন। বাবার কাছ থেকে সে প্রথম ছোট্ট লেদ কারখানায় কাজ শেখা শুরু করেন। বাবার সাথে ছোট বেলা থেকে কাজ করে কৃষিযন্ত্র, মাড়াইকল, অটো ইট প্রস্তুত, বিভিন্ন প্রকার মাড়াই কল, অটোমেটিক পাট আঁশ ছাড়ানোসহ বিভিন্ন মিল-কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরি  করেছেন। তার ওয়ার্কশপে তৈরি এই যন্ত্রগুলো বিভিন্ন এলাকায় ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন কিছু তৈরি করে বগুড়ার মানুষকে সে তার উদ্ভাবন উপহার দিয়েছে। এবার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিনি ভেন্টিলেটর মেশিন তৈরি করছেন। এর সাথে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, সেনাসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নিরাপদ এক প্রকার পোশাক তৈরি করেছেন। পোশাকটি আসলে পুরোটায় একটি মেশিন। এই পোশাক মেশিনটি গায়ে দেয়ার পর তার ভেতরে অটোমেটিক বাতাস বা অক্সিজের প্রবাহ করবে। তারপর সেই পোশাক পরে করোনা আক্রান্তদের সহজেই চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে। এছাড়া এই পোশাকটি ভাইরাস মুক্ত করতে বিশেষ আরো একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি। সেই যন্ত্রের মধ্যে কিছুক্ষণ থাকলে সকল প্রকার দূষণ দূর হবে। ভাইরাসও থাকবে না বলে এসব দাবি করেছেন বগুড়ার যন্ত্র বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত আমির হোসেন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এই অটো মেশিন ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর জন্য নিরাপদে চিকিৎসা দিতে পারবেন ডাক্তার ও নার্স। এ মেশিন ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলে চিকিৎসক কিংবা নার্সেদের করোনায় আক্রান্তের সুযোগ থাকবে না। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে চিকিৎসকরা। নির্ভয়ে তারা করোনায় আক্রান্ত রোগীর সামনে কাজ করতে পারবেন। বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই পোশাকের ভিতর থেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন চিকিৎসক কিংবা নার্সর যা স্পিকারের মাধ্যমে বাইরে সবাই শুনতে পারবেন। আমির হোসেন জানান, এ যন্ত্রের মধ্যে আপনা-আপনি অক্সিজেন তৈরি হবে এবং তা থেকে গোটা পোশাকে ছড়িয়ে পড়বে যাতে পোশাকের ভিতরের মানুষ সহজেই নিঃশ্বাস নিতে পারে। এই মেশিনটি সম্পূর্ণ আইসিইউ আদলেই তৈরি করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস ছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরসহ সকল ছোঁয়াচে রোগীকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটি কাজে দেবে। দীর্ঘদিন এই পোশাক শরীরে রাখা যাবে। স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এই পোশাক জিবাণুমুক্তকরণ যন্ত্র তৈরির কাজও চলছে। এই মেশিনের মধ্যে ৩০ সেকেন্ড ঢুকে আবার বেরিয়ে আসলে সম্পূর্ণ জিবাণুমুক্ত হয়ে যাবে। এই যন্ত্রটি হাসপাতাল, ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংযোগ করে শতভাগ জিবাণুমুক্ত নিরাপত্তায় আনা যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর যন্ত্র তেরির কাজ প্রায় শেষ বলে তিনি জানান। তিনি আশা ব্যক্ত করে জানান, তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে জীবাণুমুক্তকরণ এই যন্ত্র আবিষ্কার করা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।


এগুলো তিনি তার নিজস্ব কারখানায় তৈরি করছেন দাবি করে গতকাল গণমাধ্যমে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তাকে সহযোগিতা করা হলে দ্রুততার সাথে ভেন্টিলেটন মেশিন এবং চিকিৎসকদের জন্য জীবাণুনাশক পোশাক তৈরি করতে পারবেন। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করে তিনি সফল হয়েছেন বলেও দাবি করেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন। বাবার কাছ থেকে সে প্রথম ছোট্ট লেদ কারখানায় কাজ শেখা শুরু করেন। বাবার সাথে ছোট বেলা থেকে কাজ করে কৃষিযন্ত্র, মাড়াইকল, অটো ইট প্রস্তুত, বিভিন্ন প্রকার মাড়াই কল, অটোমেটিক পাট আঁশ ছাড়ানোসহ বিভিন্ন মিল-কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ তৈরি  করেছেন। তার ওয়ার্কশপে তৈরি এই যন্ত্রগুলো বিভিন্ন এলাকায় ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন কিছু তৈরি করে বগুড়ার মানুষকে সে তার উদ্ভাবন উপহার দিয়েছে। এবার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তিনি ভেন্টিলেটর মেশিন তৈরি করছেন। এর সাথে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, সেনাসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নিরাপদ এক প্রকার পোশাক তৈরি করেছেন। পোশাকটি আসলে পুরোটায় একটি মেশিন। এই পোশাক মেশিনটি গায়ে দেয়ার পর তার ভেতরে অটোমেটিক বাতাস বা অক্সিজের প্রবাহ করবে। তারপর সেই পোশাক পরে করোনা আক্রান্তদের সহজেই চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে। এছাড়া এই পোশাকটি ভাইরাস মুক্ত করতে বিশেষ আরো একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি। সেই যন্ত্রের মধ্যে কিছুক্ষণ থাকলে সকল প্রকার দূষণ দূর হবে। ভাইরাসও থাকবে না বলে এসব দাবি করেছেন বগুড়ার যন্ত্র বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত আমির হোসেন।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা এই অটো মেশিন ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর জন্য নিরাপদে চিকিৎসা দিতে পারবেন ডাক্তার ও নার্স। এ মেশিন ব্যবহার করে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেয়া হলে চিকিৎসক কিংবা নার্সেদের করোনায় আক্রান্তের সুযোগ থাকবে না। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে চিকিৎসকরা। নির্ভয়ে তারা করোনায় আক্রান্ত রোগীর সামনে কাজ করতে পারবেন। বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি এই পোশাকের ভিতর থেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন চিকিৎসক কিংবা নার্সর যা স্পিকারের মাধ্যমে বাইরে সবাই শুনতে পারবেন।

আমির হোসেন জানান, এ যন্ত্রের মধ্যে আপনা-আপনি অক্সিজেন তৈরি হবে এবং তা থেকে গোটা পোশাকে ছড়িয়ে পড়বে যাতে পোশাকের ভিতরের মানুষ সহজেই নিঃশ্বাস নিতে পারে। এই মেশিনটি সম্পূর্ণ আইসিইউ আদলেই তৈরি করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস ছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরসহ সকল ছোঁয়াচে রোগীকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটি কাজে দেবে। দীর্ঘদিন এই পোশাক শরীরে রাখা যাবে। স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই পোশাক জিবাণুমুক্তকরণ যন্ত্র তৈরির কাজও চলছে। এই মেশিনের মধ্যে ৩০ সেকেন্ড ঢুকে আবার বেরিয়ে আসলে সম্পূর্ণ জিবাণুমুক্ত হয়ে যাবে। এই যন্ত্রটি হাসপাতাল, ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংযোগ করে শতভাগ জিবাণুমুক্ত নিরাপত্তায় আনা যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর যন্ত্র তেরির কাজ প্রায় শেষ বলে তিনি জানান। তিনি আশা ব্যক্ত করে জানান, তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে জীবাণুমুক্তকরণ এই যন্ত্র আবিষ্কার করা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.