ধর্ষণের আদ্যোপান্ত

অন্যান্য

জি.এম.জাহিদ হোসেন টিপু :
সাম্প্রতিকালের সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত বিষয় ধর্ষন। এ নিয়ে শাহাবাগে চলছে ধর্ষনের আড়ালে সরকার বিরোধী আন্দোলন । তবে এমনটি মনে করার কারণ নাই যে, ধর্ষন শুধু এখনি হচ্ছে ,পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে ধর্ষন ছিল থাকবে তবে তাহা কারো কাম্য নহে। আমরা সাধারণত ধর্ষনকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে থাকি। মধ্যযুগ বলতে আমরা বুঝি অসভ্য বর্বর অশিক্ষিতের যুগকে কিন্তু বর্তমান যুগতো অশিক্ষিত বা বর্বরের যুগ নয়। আমরাতো এখন শিক্ষা সংস্কৃতি সভ্যতার উচ্চ শিখরে অবস্থান করছি। অবশ্য জৈবিক চাহিদা কোন যুগ মানে না । অশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী যে মুহুর্তে করোনা আতঙ্ক বিদ্যমান, করোনা থেকে রক্ষাপেতে মানুষে মানুষে চলচে সামাজিক দুরত্ব এমনকি স্বামী স্ত্রীও এক বিচানায় থাকতে সতর্ক থাকতে হচ্ছে ঠিক সেই ভয়ঙ্কর মুহুর্তেও ধর্ষন বাড়ার কারণ প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখন পশু হয়ে যায়। পশুবৃত্তি চরিতার্থ করতেই ধর্ষনের মত পাষবিক কাজ করে । দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক অর্থ্যাৎ ৮কোটি পুরুষ ৮কোটি নারী। ৮কোটি পুরুষের মধ্যে শিশু-বৃদ্ধ বাদ দিলে শারিরীক ক্ষমতা সম্পন্ন পুরুষের সংখ্যা কত কোটি? এর মধ্যে ধর্ষন করছে হাতে গোনা কয়জন? প্রতিদিন প্রতি জেলায় একজন করে ধর্ষিতা হলে তাতেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই । কিন্তু তাওতো হচ্ছে না ৷ নারী সংগঠনগুলো বা নারীবাদী সংগঠনগুলোর অংঙ্গুলি হেলন পুরুষ শাষিত সমাজের পুরুষদের প্রতি। তুলনামুলকভাবে ধর্ষন বেড়েছে ঠিক তবে প্রচার প্রচারণা চলছে মাহামারি আকারে । নারীবাদী বুদ্ধিজীবিরা চায় নারী পুরুষের সমঅধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, সর্বক্ষেত্রে নারীর অবাধ বিচরণ ৷ তাহলে ধর্ষন না বাড়ুক অবৈধ মেলামেশা বা বিবাহ বহিঃর্ভুত মেলামেশা আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে । তাহলে তো ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা বা ধর্মীয় মূল্যবোধ লোপ পাবে ৷
ধর্ষনের প্রকার ভেদ আছে ৷ একজন পতিতা যদি অর্থ বা আপোষের বিনিময়ে পুরুষের সাথে মেলামেশা করে কোন অপরাধ হয় না। কিন্তু ঐ মহিলাটিই যদি ঐ পুরুষকে ব্ল্যাকমেইলিং করার উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে তা হয়ে যায় ধর্ষন। আমাদের দেশে পাপিয়া মিন্নিদের মত লোকের অভাব নাই। আমরা তো মিন্নির ঘটনায় নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে ছিলাম ,তাহলে মিন্নির ফাঁসি হলো কেন? একটা ঘটনা যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা মিডিয়াতে আসে আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু প্রত্যেক ঘটনারই অন্তরালে আরেকটি ঘটনা থাকে , ঘটনা যত মর্মান্তিক হোক ,ঘটনা রাজনীতিকরণ হলে তা গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। যেমনটি গত কয়দিন ধরে শাহবাগে ঘটছে। শাহবাগে চরিত্রহীন কিছু মহিলা চরিত্রহীনদের বিচার চাইছে। অবাক কান্ড ! ধর্ষন শব্দটি সম্প্রতি বহুল প্রচারিত হওয়ায় শিশু কিশোরদের মাঝে কৌতহল বেড়েছে যে, একজন পিতা আমাকে বললো তার ৫ম শ্রেণীর পড়ুয়া সন্তান ঘর ভর্তি মানুষের সামনে প্রশ্ন করে বাবা ধর্ষন কি? ধর্ষন কিভাবে করে? পিতা বিব্রত হলেও কৌতুহবশত: এই শিশু কিশোরা যদি নিজেদের মধ্যে ধর্ষনের ব্যাখ্যা খুজতে গিয়ে পরিক্ষামূলক নিজেদের মধ্যে এমন আচরন করে তখন সামাজিক অবক্ষয় বাড়বে বৈ কমবে না।
সুতরাং এনিয়ে মাতামাতি যতকম হবে ততই মঙ্গল ,তবে কঠোর আইনের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রন বা দমন করা উচিৎ ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.