ঢাকা আশুলিয়ার ধামসোনায় কর্মহীন দুস্থ্যদের খাদ্য সহায়তায় দিচ্ছেন আ’লীগ নেতা হাজী মতিন

অন্যান্য

মোঃ শাহ আলম আশুলিয়া থেকে :
দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জন সচেতনায় ব্যাপক প্রচারনা ও কর্মহীন দুস্থ্য মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দিয়ে মানবিকতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক হাজী মতিউর রহমান মতিন। তিনি গত দেড় মাসে প্রায় দুই হাজার পরিবারকে খাদ্য সশাহ আলমহায়তা দিয়েছেন। বর্হি বিশ্বের মতো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের শ্রমজীবী, মধ্যবিত্ত শ্রেনির মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে তাদের। অনেক মধ্যবিত্ত হয়তো খাবারের অভাবে থাকলেও লোক লজ্জায় মুখ ফুটে কাউকে বলতেও পারে না। এমন ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিজ ইউনিয়নের কর্মহীন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িঁয়েছেন আশুলিয়া ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মতিউর রহমান মতিন।
জানাযায়, দেশের সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে ধামসোনা ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়েই চলেছেন হাজী মতিউর রহমান মতিন এবং তিনি গোপনে মধ্যবৃর্ত্তদের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাজী মতিউর রহমান মতিন সাংবাদিকদের বলেন,বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ার পর থেকে আমার নেতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি করোনা প্রতিরোধে ৩১ দফা ঘোষনা দিয়েছেন।আমি তার একজন কর্মি হিসাবে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সর্বাত্বক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।সে জন্য আমি ধামসোনা ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে কর্মহীন দুস্থ্যদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আশুলিয়া থানার সকল বৃত্তবানদের কে আমি অনুরোধ করে বলতে চাই আপনারা কর্মহীন, অসহায় দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং আপনাদের নিকটে অগনিত অসহায় জনতা যারা দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের জন্য উপবাসে দিন কাটাচ্ছে। দয়াকরে তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিন। তিনি আরো বলেন, ধামসোনা ইউনিয়নের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য আমার মোবাইল ফোন সব সময় খোলা থাকবে এবং যারা মধ্যবিত্ত লোক লজ্জায় কিছু বলতে পারছেন না তারা মোবাইল এর মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন আপনাদের পরিচয় গোপন রেখে আমার সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করে যাবো ইনশাআল্লাহ,

আশুলিয়া থানা পবনারটেক এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারন সম্পাদক আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিক্ষিত সৈনিক দুঃসময়ের রাজ পথের যাকে পাওয়া যায় দলের জন্য হাজী মতিউর রহমান মতিন এক নিবেদিত প্রাণ। তিনি ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণীত হয়ে এলাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে রাজপথে রাজনীতির যাত্রা শুরু করেন।তিনি ১৯৮১ সালে সাভার কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করেন।১৯৮৫ সালে ধামসোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৯০/৯১ গণ আন্দোলণে রাজপথে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। তৎকালীন বিরোধিদল হিসাবে বিএনপি জামাত জোটের রোষানলে পরে বহু নির্যাতন জেল জুলুমের শিকার হন তিনি। ১৯৯৮ সালে সাভার উপজেলা যুবলীগের সহ- সভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে ৫ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেন। এসময় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন

কাজ করার কারনে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়। তিনি পবনার টেক সরকারী স্কুল ও মসজিদ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল ও ১৪ সাল থেকে অদ্যবধি সফলতার সাথে পর পর দুই বার ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।এই দ্বায়িত্ব পালন কালে তিনি বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার জন্য তিনি কখনও জাতির জনক বঙ্গ বন্ধুর আর্দ থেকে সওে যায়নি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসাবে তিনি ছিলেন সবার আগে তার সৎ ন্যায় নিষ্ঠা ও আর্দশ এলাকার জনগণকে মুগ্ধ করেছে।এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে তিনি ছিলেন অবিচল।দীঘ সময় রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করার কারনে জামাত বিএনপি জোট সরকারের রোষানলে পরে বহু মামলা হামলা জুলুম নির্যাতনের শিকারন হন।এর পরও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ থেকে কেউ একটুও সরাতে পারেনি। দেশ ও দলের স্বার্থে জননেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কোন নির্দেশ মতো সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশনায় দলীয় নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে সব সময় রাজ পথ নিজেদের দখলে রেখেছে।বর্তমানে ধামসোনা ইউপি আওয়ামীলীগের একজন সফল সাধারন সম্পাদক হিসাবে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে।তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ও মেধায় তিনি একজন বড় ধরনের রাজনৈাতক ব্যাক্তিত্বদের সময় উপযুগি।দীঘ সময় ধরে যে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন সেই জন্য তিনি আবারও ধামসোনা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক হওয়ার যোগ্য বলে মনে করছে এলাকার সাধারন মানুষ।এই দীর্ঘ সময় রাজনীতিতে থাকা কালীন বহু সামাজিক সংগঠনের দ্বায়িত্ব পালন করেন।সৎ ভাবে ব্যবসা পরিচালনার সময় তিনি ভলিবদ্র বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।এর পর হাসেম প্লাজা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন,সমশের প্লাজা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসাবে বর্তমানে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া বহু মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে ধারাবাহিক রাজনৈতিক সফলতা দেখলে ধামসোনা আওয়ামী লীগে তার বিকল্প নেই।দেশের এই দুযোর্গ মুহুতে তিনি আবারও প্রমান করলেন রাজনীতি মানুষের জন্য মানুষের সেবাদানের মধ্যেই মানবতার পরিচয় ফুটে উঠে। তার সাহায্য দানে যে অবদান রেখেছেন এটি মানবতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.