ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বড় দুই দলের প্রার্থীদের

রাজনীতি

ডেক্স রিপোর্ট :
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা মুখোমুখি উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণার চতুর্থ দিন ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীরা উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে ভোট চেয়েছেন। ইসি কর্র্মকর্তারা জানান, দুই সিটিতে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ মিলিয়ে মোট ৭৫৮ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন এবার। এর মধ্যে মেয়র পদে দুই সিটিতে ১৩ প্রার্থী লড়ছেন। গেল শুক্রবার শুরু হওয়া প্রচারণা ১৮ দিন চলে ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা বাজার এলাকায় গণসংযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত ঢাকা উত্তরের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, বিরোধীপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু বিরোধীপক্ষ মিথ্যাচার করছে।

বিএনপি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে তাবিথ আউয়ালের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আতিক বলেন, আমরা নির্বাচনি আচরণবিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিরোধীপক্ষকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি আজও এখানে আসার সময় পথেই দেখলাম ধানের শীষের সে গান দিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। কই আমরা তো বাধা দিইনি।

বিরোধীপক্ষ মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে আতিক বলেন, বিরোধীপক্ষ অতীতেও মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে যাচ্ছি, ভোট চাচ্ছি। নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই, উন্নয়নের গিয়ার। জনগণ নির্বাচিত করলে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, সচল ঢাকা গড়ব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। যার ভোট সে দেবে। আমরা মানুষের ঘরে ঘরে যাব। নৌকার পক্ষে ।

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বড়

সবাই ভোট চাইব। আমি উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে ৯ মাস কাজ করেছি। ৯ মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, নারীবান্ধব সবুজ ঢাকা গড়ব।
অন্যদিকে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আবারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান এমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যেটা দেখে জনগণ আশ্বস্ত হবেন যে তারা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারবেন। সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও এলাকায় জনসংযোগের সময় তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমি আশঙ্কা করছি, এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না এবং সুষ্ঠু না হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন নিজেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করছে। অনেক বিতর্কিত কথাবার্তা বলছে।
ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল জানান, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কাউন্সিলর প্রার্থীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অনেক প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা হয়েছে, মাইক ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
তাবিথ বলেন, আমি মেয়র প্রার্থী, আমার গণসংযোগের সময় প্রতিপক্ষ মিছিল নিয়ে, সে গান দিয়ে, ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি জানতে চাই আমাদের যে ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন নির্বাচন কমিশনের, তারা কোথায় আছেন।
এদিকে সোমবার রাজধানীর মানিকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে চতুর্থ দিনের নির্বাচনি গণসংযাগ শুরুর আগে গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, গণসংযোগে ঢাকাবাসীর থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ঢাকাবাসী সাদরে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়তে যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি, আমরা আশা করি, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ঢাকাবাসী সেই ঢাকা গড়ার পক্ষে তাদের রায় দেবে এবং আমাকে তাদের সেবক হিসেবে নির্বাচিত করবে। বর্ষা মৌসুমে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে হাত দিতে চান বলে জানান তিনি। নির্বাচিত হতে পারলে ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসীর সব মৌলিক সুবিধাগুলো তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা যে উন্নত ঢাকার গড়তে ৩০ বছরের মহাপরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটার আওতায় জলাবদ্ধতা নিরসন করে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় কাজ করার পর অন্তত ৩ বছর অন্য কোনো সংস্থাকে ওই এলাকায় কাজ করতে দেওয়া হবে না। এটা হলে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, সেই দুর্ভোগ থেকে ঢাকাবাসী পরিত্রাণ পাবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, হামলা-মামলা অতীতেও হয়েছে, এখনও হবে। আমরা প্রতিপক্ষের সব হামলা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করে চতুর্থ দিনের মতো প্রচারণা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা জানেন, এর আগে সন্ত্রাসীরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমাদের সিনিয়র নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হযেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনেও এ ধরনের হামলা-মামলা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে, মাইক ভাঙা হচ্ছে, কর্মীদের আহত করা হয়েছে। তবে এসব করে আমাদের থামানো যাবে না। আমরা এবার প্রতিপক্ষের সব হামলা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছি।
ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আবদুর রহমানের গণসংযোগ : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে চতুর্থ দিনেও ব্যাপক ও জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আবদুর রহমান।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে চকবাজার, চুড়িহাট্টা, সোয়ারীঘাট, উর্দু রোড, সাত রওজা; বিকালে লালবাগ, পোস্তা, ঢাকেশ্বরী রোড, আমলীগোলা এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন আবদুর রহমান। প্রচারণায় ইসলামী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, যুব আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন। গণসংযোগ একপর্যায়ে গণমিছিলে রূপ নেয়। এ সময় রাস্তার দুই পাশে থাকা সাধারণ মানুষ মেয়রপ্রার্থী আবদুর রহমানকে অভিবাদন জানান।
এ সময় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পথসভায় আবদুর রহমান বলেন, ঢাকা সিটির প্রতিটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য আদর্শ নগরী গড়ে তুলব। বৃদ্ধ, শিশু, মহিলা, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, কুলি-মজুর, জেলে, তাঁতি, বাড়িওয়ালা, গাড়িওয়ালা, চাকরিজীবীসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা মেয়রপ্রার্থী আবদুর রহমানের।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির এক সভা দক্ষিণ কার্যালয়ে দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়রপ্রার্থী আবদুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলতাফ হোসেন ও আনোয়ার হোসেন, আবদুল আউয়াল, মুফতি মোস্তফা কামাল, হারুন অর রশিদ, ডা. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবারের কর্মসূচি : সকাল ১০টা থেকে কামরাঙ্গীরচর থানায় গণসংযোগ শুরু হয়ে কামরাঙ্গীর থানার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর গণসংযোগ চলবে।

সহোদর এনামুল ও রুপন গ্রেপ্তার

সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার নাম দেখা যায়। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করি এবং সকালে কেরানীগঞ্জে তাদের এক সহযোগীর বাড়ি থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সিআইডির তদন্তে ও তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দুই ভাইয়ের সম্পত্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ দুইজনের মোট ২২টি জমি ও বাড়ি রয়েছে, যার অধিকাংশই পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক। এছাড়া সারা দেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও রয়েছে দুই ভাইয়ের। সেপ্টেম্বরে দুইজনের বাড়িতে অভিযানের সময় ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সেগুলো ব্ল্যাকমানি (কালো টাকা)। দেশের বাইরে পাচার করতে তারা সেগুলো রেখেছিলেন। রিমান্ডে নিয়ে দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যখন তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, তারা তা আঁচ করতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে কক্সবাজার চলে যান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, নৌযানে অবৈধভাবে মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাবেন। তবে ওই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এজন্য তারা ঢাকায় এসে কেরানীগঞ্জে মোস্তফা নামের এক সহযোগীর বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন দুই ভাই। বেনামি পাসপোর্ট ও ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার জন্য মোট ৪০ লাখ টাকা সঙ্গে রেখেছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের সময় এ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল  ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসির উদ্যোগে চট্টগ্রামেও ভোট

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, হুদা কমিশন ভোট ডাকাতির বৈধতা দানের সিলমোহরে পরিণত হয়েছে। সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের শত্রুপক্ষ। তিনি গণতন্ত্রের শত্রু। তিনি বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের সাথে শত্রুতামূলক আচরণ করেন। বিষাক্ত সাপকেও বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা যায় না। তিনি একদলীয় রাজনীতির মূঢ় বিশ্বাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত। রিজভী বলেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের আগের দিন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি, হামলা; আর ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও ভোটারদের প্রতিনিয়ত নিগৃহীত করা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে ধানের শীষের সমর্থক ও ভোটাররা হিংসার সম্মুখীন হয়েছেন। সারা আসনজুড়ে সর্বত্রই অত্যাচারের চিত্র ছিল একই রকম। ১৭০টির মধ্যে সকাল বেলায় ১২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে এবং পরে বেলা ১১টার মধ্যে সবক’টি কেন্দ্র দখল করে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, বহিরাগতদের ভোট কেন্দ্রে এনে ভোটের লাইন দেখানো হলেও ওই এলাকার কোনো ভোটারই ভোট দিতে পারেননি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা খোরশেদ ও রফিকের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তারা এখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা ৮০ বছর বয়স্ক অ্যাডভোকেট ইসাহাকের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে তাকেও আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। রিজভী বলেন, এ ভোট সন্ত্রাস চলাকালে রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এসব অপকর্মে সহায়তা করেছে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রিজভী বলেন, সোমবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগাম বার্তা দেওয়া হলো কি না, সেটি জনগণ জানতে চায়। চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা আবারও ভোট ডাকাতির যে ঘৃণ্য নজির স্থাপন করল, আমি সেটির তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, দপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.