ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

রাজনীতি

ফেরদৌসুর রহমান-ঠাকুরগাঁও :
সম্মেলনের ১৫ মাস পর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

১৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মতামতের ভিত্তেতে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, তৎকালীন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের ৯ মাস পর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেন। প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়ার ৫ মাস পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে সদস্য পদে রয়েছেন ৩৬ জন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৩জন নারী পদ পেয়েছেন। এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন মুখ রয়েছে ১৭ জন, এরমধ্যে বিভিন্ন সম্পাদক পদে ৫ জন ও সদস্য ১২ জন। সদস্য পদে নতুন মুখ আবু হাসনাত বাবু, আহসান হাবীব বুলবুল, বনি আমিন, রাজিউর রহমান খোকন চৌধুরী, অ্যাড. মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক, পারথ সারথি সেন, আবু সাঈদ বাবু, রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, কশিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, মাসুদুর রহমান বাবু।

এছাড়াও নতুন পদ পেয়েছেন, উপ-প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ সোহেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ বেলাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান।

অনুমোদিত কমিটিতে সহসভাপতি পদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, আব্দুল মান্নান, অ্যাড. তোজাম্মেল হক মঞ্জু, অ্যাড. ফজলুল হক, প্রবীর কুমার রায়, অ্যাড. শেখর কুমার রায়, মাহাবুবুর রহমান খোকন, এসএমএ মঈন, আক্তারুল ইসলাম, আবু মোতালেব চৌধুরী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন অ্যাড. আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল, অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, মনিরুজ্জামান জুয়েল। সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, মাজহারুল ইসলাম সুজন, সন্তোষ কুমার আগরওয়াল।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায়, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. নাসিরুল ইসলাম নাসির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাসান আলী, বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আলতাফুল রহমান খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হাবীব আহম্মেদ উলুব্বী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান দুলাল, শ্রম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মুক্তা সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মহিদুল ইসলাম।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়ে তা কেটে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণ নেতৃত্ব দলকে আরও সুসংগঠিত করবে। কমিটির দায়িত্ব পাওয়া নেতারা এখন থেকে আরও আন্তরিকভাবে দলের কাজ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.