জনগণের সুখে দুঃখে পাশে থেকে সেবা দিতে চাই বললেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল খান

রাজনীতি

মুহাম্মদ মতিন :
জনগনের সেবক হয়ে কাজ করতে চায় চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃসাইফুল ইসলাম খান। সারা দেশের মতো বগুড়া জেলা শেরপুর উপজেলার ৯নং সীমাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৯ নং সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নবীন ও প্রবীণ সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন নিজেদের প্রচার প্রচারণা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গণ। সর্বত্রই চলছে আলোচনা বইছে নির্বাচনী হাওয়া। শেরপুর উপজেলা ৯ নং সীমাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ৯ নং সীমাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কৃতি সন্তান গুনিজন সম্মাননা প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর মোঃ সাইফুল ইসলাম খান। দুঃসময়ের কান্ডারী, যুব সমাজের আইকন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, দানবীর, সমাজ সেবক এবং সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সিমলা গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান বলেন তিনি বলেন আমি এই নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সুখে-দুঃখে আছি।
আমি উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সকলের সহযোগিতায় মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। পারিবারিক সূত্র জানা যায়, মোঃ সাইফুল ইসলাম খান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান। তিনি বিভিন্ন সময় অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সমাজ কল্যাণমুলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত থেকে সমাজ সেবায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন এবং তিনি করোনা কালীন সময়ে অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং শীতার্তদের মাঝে তাঁর সাধ্যমত শীত বস্র বিতরণ করেন। মানুষের সেবা করাকেই তিনি মহান ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন। মোঃ সাইফুল ইসলাম খান স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে সমাজ ও দেশের উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গঠনে সচেষ্ট হবেন। নিজের অবস্থান আরো সুসংহত করতে তিনি নিয়মিত গনসংযোগ করছেন।নিজের প্রার্থিতা জানান দিয়ে তিনি সীমাবাড়ী ইউনিয়নে এর বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা চেয়েছেন। মোঃ সাইফুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলিগ থেকে মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে শাসক নয় জনগনের সেবক হয়ে কাজ করবো। ইউনিয়নকে মাদক সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত করতে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন তিনি। সে উদ্দেশ্যে একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করে দীর্ঘ দিন ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় সমাজসেবক হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এছাড়া সকল সময়ে তিনি অসহায় দুস্থ্য মানুষের সুখ দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ডসহ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এলাকায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রচারণাকালে তিনি আরো জানান উন্নয়নের রোল মডেল। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সবাই একত্রে সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা মূলক গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন তথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাঘাট, কালভাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেকার যুবক যুবতীদের যথাযথ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী করে তোলার কাজ করব। নারী ও শিশুনির্যাতন, মানব পাচার, এসিড, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ এবং মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। দীর্ঘ দিনের জরাজীর্ণতাকে পিছনে ফেলে সীমাবাড়ী ইউনিয়নবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সকল উন্নয়ন মূলক কাজ ত্বরান্বিত করবো। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে আরো বলেন সবার সহযোগিতায় ৯ নং সীমাবাড়ী ইউনিয়ন কে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.