কক্সবাজারে অবশেষে চম্পা হত্যার মূলহোতা সাজ্জাদ পেকুয়ায় পুলিশের হাতে আটক

অপরাধ

বাহাদুর চৌধুরী :
কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী হত্যার মূল হোতা সাজ্জাদ পেকুয়া থানা পুলিশের হাতে আটক। কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুনী চম্পাকে ধর্ষণ ও পরবর্তি খুনের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন আসামী সাজ্জাদ হোসেনকে পুলিশ হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পাঁচদিন পর সোমবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে পেকুয়া সদর শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ ও স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। সে একই এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ পুতুর ছেলে ।
গত ৬মে সিএনজি যোগে চম্পা বেগম চট্টগ্রাম শহর থেকে নিজ বাড়ি খরুলিয়ায় ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চকরিয়া মরংঘোনা এবিসি মহাসড়কে চলন্ত গাড়ি থেকে ছোড়ে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাত ১১ টায় চম্পার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছিল কয়েকজন নরপিচাস। নিহত চম্পা বেগম (১৯) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় এলাকার রুহুল আমিনের বিবাহিত মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ধর্ষক ও হত্যাকারী নরপিশাচদের মধ্যে জয়নাল (১৮) নামের একজনকে আটক করেছে র‍্যাব -১৫ এর সদস্যরা। ঘটনার পরদিন ৭ মে সিএনজি চালক চালক আটকের পরদিন হত্যাকান্ডের ঘটনা উদঘাটন করে র‍্যাব-১৫। আটক জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীপাড়ায় এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। জব্দ করা হয়েছে সেই সিএনজিও। তবে এই ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন (৩০) পলাতক ছিল। তাকে ধরতেও অভিযান চালিয়ে চালিয়েছে র‍্যাবের বিশেষ টিম ও পেকুয়া থানা পুলিশ। উল্লেখ্য যে, গত বুধবার চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় নিজের বাড়িতে আসছিলেন ১৯ বছরের তরুণী চম্পা। রাতে সিএনজি করে আসার পথে সিএনজি চালক ও আরও একজন মিলে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল আজম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.