আশুলিয়ার ধামসোনা ইউপি দুস্থ্য অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালেন আ’লীগ নেতা লতিফ মন্ডল

অন্যান্য

শাহ আলম, আশুলিয়া থেকে :
দেশে করোনা ভাইরাস সঙ্কট মুহুর্তে ধামসোনা ইউনিয়ন দুঃস্থ দরিদ্র অসহায় মানুষের খাদ্য সঙ্কট দুরীকরনে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও জনসচেতনা কর্মকান্ড দিয়ে সবাত্বক সহযোগিতা দিয়েছেন আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন কন্ডা গ্রামের ঐত্যিহাসিক মন্ডল পরিবারের কৃতি সন্তান আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাহসী সৈনিক দুইবারের ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুইবারের বিপ্লবী সভাপতি মানবতার কান্ডারি আব্দুল লতিফ মন্ডল।তিনি দেশের এই সঙ্কটময় মুহুতে তার এলাকার সকল মানুষকে নিরাপদে রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। ঐ এলাকার সার্বিক সমস্যা দূরীকরণ প্রতিদিন মনিটরিং করে এলাকার বাড়িওয়ালাদের সাথে নিয়ে মিটিং করে মানুষের অসুবিধা চিহিৃত করে সমাধানের জন্য কাজ করছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন হওয়ার পর থেকে তিনি ও তার এলাকার চেয়ারম্যান
একাধিকবার দফায় দফায় দুস্থ দরিদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছেন গত ২৭ এপ্রিল দুই রমজান সর্বশেষ দুইশতাধিক পরিবারকে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন।এর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাউল, দুই কেজি আলু,পেয়াজ.সোয়াবিন তৈল, মালটা, আপেল, খেজুর ও ইফতার সামগ্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাণ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ।তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা দলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে নিয়ে দেশের সঙ্কট মুহুর্তে কর্মহীন সকল মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।একটি লোকও যাতে না খেয়ে থাকে সেই জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ সামগ্রি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।সরকারী ত্রাণের অপেক্ষায় না থেকে আমরা নিজস্ব অর্থায়ণে এসকল খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগ নেই। আজ ধামসোনা ইউনিয়নের সভাপতি তার নিজস্থ অর্থায়ণে এই খাদ্য সামগ্রী দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে দিচ্ছে।এছাড়া আমি আমার থানার ৫টি ইউনিয়ন ও জাতীয় শ্রমিকলীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠনকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছি। এই পর্যন্ত আমি প্রায় ১৬৭ টন চাউলসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি।যতো দিন দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ কর্মহীন থাকবে ততো দিন এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।এনিয়ে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল বলেন করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মুহুর্তে আমদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যাণ মানবতার প্রতীক সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছি। যতো দিন দেশে সঙ্কট থাকবে ততো দিন এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।এলাকার সাধারন মানুষ বলছে দেশের সঙ্কট মুহুর্তে এই এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখতে তিনি যে পদেক্ষেপ নিয়ে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে সত্যিই এটি প্রশংসনীয়।ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে তার বিকল্প নেই।
আব্দুল লতিফ মন্ডল ধামসোনা ইউনিয়ন কন্ডা গ্রামে যার জন্ম আওয়ামী লীগ পরিবারে। তিনি ছেলে বেলায় অভিবাবকদের কাছ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর এর আর্দশ ও রাজনীতিক কর্মকান্ডের স্মৃতিচারণ শুনে বেড়ে উঠে । পরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুসারী হয়ে হাইস্কুলে শিক্ষার্থী অবস্থায় ধামসোনা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন।তার মেধা দূরদর্শী রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অনুপ্রানিত হয়ে ধামসোনার লোহমানব বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ৫ বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম ফারুক হোসেন তার রাজনৈতিক সহচর হিসাবে আব্দুল লতিফ মন্ডলকে পাশে রাখেন ছাত্রলীগ থেকে তাকে সরাসরি ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন।যার পর থেকে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে মাঠে ঘাটে বিএনপি জামাত ও এরশাদ সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শেখ হাসিনার আদর্শকে অনুসরণ ও নির্দেশ মেনে রাজনৈতিক এক সাহসী সৈনিক হিসাবে রাজপথে ছিলেন।
সে সময় ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম ফারুক হোসেনের নির্দেশ ও শেখ হাসিনার আদেশ মেনে দলের জন্য কাজ করেছেন।তার মেধা বুদ্ধি ও সততা ও জনপ্রিয়তা দেখে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে তিনি স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন। মেম্বার দ্বায়িত্ব থাকা অবস্থায় এলাকার দুস্থঃ দরিদ্র অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। তার দ্বায়িত্ব কালিন সময় ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে।সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ফারুক হোসেনের সহচর হওয়ায় এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছেন।সে সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাহিরে থাকায় দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে সাবেক সরকারের নানা রকমের নির্যাতন জেল জুলুম ও
নির্যাতনের শিকার হন।ছাত্রজীবন থেকে দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক আর্দশ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে বুকে ধারন করে রাজপথে থাকার কারনে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ তার প্রতি সন্তুষ্টি হয়েছেন।দীঘদিন আওয়ামী লীগের পরিক্ষীত সৈনিক হিসাবে নানা নির্যাতন সংগ্রাম করায় তাকে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। পর পর দুইবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় ধামসোনা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে শক্তিশালী কমিটি দিয়ে বিএনপির ঘাটি ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিনত করেছেন।একদিকে এলাকার উন্নয়নে তিনি অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে রাজনীতিতে তিনি ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। তার সফল নেতৃত্বের কারনে কন্ডা, সুবন্দি মধুপুর তালপট্রি শ্রীপুর, ভাদাইলসহ ধামসোনা ইউনিয়ন এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। যে কোন অন্যায় অপরাধ হলে তিনি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন।এলাকায় মাদক বিরোধী সকল কর্মকান্ডে তার অবদান দেখা যায়,এছাড়া সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ছিনতাই সহ সমাজ বিরোধী সকল অপরাধ প্রতিরোধে তার ভুমিকা ছিল অনন্য। স্থানীয় ধর্মী প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিম খানায় তিনি ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।সুবন্দি ও তালপট্রি মসজিদ কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়া বহু স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার অবদান রয়েছে।তিনি রাজনীতি ও সমাজ সেবায় যে অবদান রেখেছেন সেটা অত্যান্ত প্রশংসার দাবী রাখে। যার কারনে আবার ও ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে আব্দুল লতিফ মন্ডলকে দেখতে চায় এলাকাবাসী তাদের মতে সর্ব দিকে যোগ্যতার মাপ কাটিতে হাজী আব্দুল লতিফ মন্ডলের বিকল্প নেই। যে কোন সময় দলের জন্য তিনি লোকবল নিয়ে ঝাপিয়ে পরে।তার ডাকে ঐ এলাকার সকল মানুষ ছুটে আসে তিনি দলের জন্য এক নিবেদিত প্রাণ। আগামী দিনে দলকে আরো সু-সংগঠিত করতে আব্দুল লতিফের বিকল্প নেই। দেশের সঙ্কট-ময় দুর্যোগ মুহুর্তে তিনি আওয়ামী লীগের যোগ্য সভাপতির দায়িত্ব সঠিক ও সফল ভাবে পালন করছেন বলে দাবী করছে এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.