আজ১২তম আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস

জাতীয়

ডেস্ক রিপোর্ট :
“জনগণ তথা বিশ্ব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কাস্টমস” প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হচ্ছে দ্বাদশ আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস।

বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে একযোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশও দিবসটি উদযাপন করছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও সেমিনারসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন।

বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসের সফলতা কামনা করে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবা গ্রহীতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শোভাযাত্রাটি সেগুনবাগিচা হতে শুরু হয়ে রাজমনি সিনেমা হলের সামনে দিয়ে কাকরাইল মসজিদ-মৎস্য ভবন-শিল্পকলা একাডেমি-দুদকের সামনে দিয়ে এনবিআর ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ কাস্টমস নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য গতি সঞ্চার করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত শুল্কায়ন ও খালাসের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বস্ত করদাতাদের দ্রুত সেবা প্রদান, আমদানি-রপ্তানি সরলীকরণ, কন্টেইনার বা কার্গো স্ক্যানারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। 

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ কাস্টমসের অবদান অপরিসীম।

১৯৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশন (CCC) গঠিত হয়। দুই বছর পর ১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর শুরু হয় এর কার্যক্রম। ১৯৫৩ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারি এটির প্রথম সেশনে ইউরোপের ১৭টি দেশ উপস্থিত ছিল। তারা বিশ্বব্যাপী এর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করে। 

১৯৯৪ সালে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশনের নাম পাল্টে গঠিত হয় World Customs Organigation (WCO)। বর্তমানে ১৮৩টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.