বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তরুণীসহ তিনজন আটক

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
বগুড়ায় স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত এক তরুণীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আটক ওই তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককৃতরা হলো- বগুড়ার সদর উপজেলার উত্তর চেলোপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রাজু জ্যাক এস আর ড্যান্স গ্রুপের রাজু আহমেদ (২৭), গাবতলি উপজেলার নিশিন্দারা আকন্দপাড়া এলাকার আনিসার রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান নয়ন (৩০) এবং তাদের সহযোগীতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত শহরের মালগ্রাম এলাকার গাফফার মণ্ডলের মেয়ে নিসা খাতুন নেহা (১৮)। ধর্ষণের শিকার কিশোরী (১৪) ও ধর্ষণ চেষ্টার অপর কিশোরী (১৩) শহরে একটি স্কুলে সপ্তম ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন।ধর্ষণের শিকার কিশোরীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশ শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাজু ওরফে রাজু জ্যাক ও সহযোগীতাকারী নেহাকে আটক করে। পরে রাত দেড়াটার দিকে গাবতলি উপজেলার পাঁচ মাইল এলাকা থেকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত নয়নকে আটক করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায় আটক ওই তিনজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তাদের মধ্যে নেহা শহরের দত্তবাড়ি এলাকার বেনিকুন্ড লেনের মিনকো প্যালেসের চতুর্থ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নেহার বাবার বাড়ি মালগ্রাম এলাকায় হওয়ায় প্রতিবেশী দুই কিশোরীর সঙ্গে তার সংখ্যতা গড়ে উঠে। মালগ্রামেই নেহার বাবার বাড়িতে ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত দুই যুবকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তারা তাদের নৃত্যশিল্পী হওয়ার সুযোগ গড়ে দিবে বলে প্রলোভন দেয়। বৃহস্পতিবার ০৭ জানুয়ারি ওই দুই কিশোরীকে আটক তরুণরা নৃত্য বিষয়ে আলোচনার কথা বলে নেহার মাধ্যমে দত্তবাড়ীর ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। দুই কিশোরী তাদের বাসায় বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে সেখানে যায়। সেখানে তাদের আড্ডার এক পর্যায়ে রাজু সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ করে ও নয়ন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া ১৩ বছরের কিশোরীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরদিন শুক্রবার কিশোরীরা সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে গেলে তাদের অভিভাবকের জেরার মুখে সব কথা বলে দেয়। এরপর ধর্ষিত ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার দুই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মামলা করা হয়। বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান অভিযোগ পাওয়ার পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আটক আসামিদের শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.