ঢাকার আশুলিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী কৌশলে ওজনে কমের অভিযোগ

অপরাধ

শাহাদাৎ হোসেন সরকার :
আশুলিয়ার শিমুলিয়া বাজারে দীর্ঘদিন যাবত অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে মিষ্টি এবং ওজনে দেওয়া হচ্ছে কম, এমন অভিযোগ এর ভিক্তিতে সরজমিনে গেলে দেখা যায়।
অত্যান্ত নোংরা স্থানে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি,। মিষ্টি তৈরীতে মিশানো হচ্ছে বিষাক্ত রং ও কেমিক্যাল । গ্লাস ঘেরাও সাজানো রয়েছে বাহারি রংয়ের মিষ্টি।
মিষ্টি বিক্রিয়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছে নিজেদের অডার কৃত মিষ্টির বক্স যাহার ওজন রয়েছে পার কেজিতে দুই শত (২২) গ্রাম ও দুই কেজিতে দেওয়া হচ্ছে দুই শত (৪৫) গ্রামের কাগজের বক্স।এভাবেই গ্রাহকদের মিষ্টি কম দেওয়া হচ্ছে । পুরো বাজার ঘুরে দেখা যায়, এই একই দৃশ্য। বাবু লাল ঘোস ,রাধে ঘোষ,অজিৎ ঘোষ সহ প্রায় ৪/৫ টি মিষ্টি কারখানায় অখাদ্য-কুখাদ্য পুর্ণ রং কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বাহারি রংয়ের মিষ্টি বিক্রিয় করে আসছেন এসকল অসাধু ব্যবসায়ীরা ।
অসাস্থকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরী ও বাজার জাত করছেন কি করে জানতে চাইলে, দোকান মালিকেরা কিছু না বলে দেখিয়েদেন বাজার মালিক সমতির সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন কে।
এবিষয়ে ফরহাদ হোসেন কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিষ্টি তৈরী ও বক্স দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাষ্টমাদের কাছে মিষ্টি বিক্রিয় করে আসছেন এরা। কাষ্টমারদের কোন সমস্যা নেই আপনাদের কি সমস্যা?
মিষ্টি বিক্রিয়ে বক্স না দিলে মিষ্টি নেবে কিভাবে।এসকল মিষ্টির বক্স এরা আমার কাছ থেকেই নেন,বলেও জানিয়াছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়ঃ দোকান মালিকদের অডার মতাবেক বক্স তৈরী করে দেন কাটন কারখানার মালিকেরা।
এবিষয়ে ক্রেতা ও এলাকা বাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের জানামতে মোঃ ফরহাদ হোসেনের কোন কাটন বা বক্স তৈরি কারখানা নেই, হয়তো ফরহাদ হোসেন এদের কাছে ভালো হওয়ার জন্য অথবা মাসিক কোন উৎকোচ পাওয়ার সুবাদে এমন কথা বলেছেন।
তারা আরও জানান শুধু এরাই এত ওজনের বক্স দিয়ে মিষ্টি বিক্রি করেন এদের পাশেই রয়েছে পাগলা ঘোষ তার মিষ্টিতে এত ওজনে কম হয় না, সেওতো বক্স দিয়েই মিষ্টি বিক্রিয় করেন। তার ঘরেতো বক্স রয়েছে। সেগুলোর ওজন একশ গ্রাম কম হয় কি ভাবে। পরিবেশ একটু নোংরা হলেও মাপে মুটামুটি ঠিক আছে। এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দায়িত্ব পাপ্ত ডাঃ সাইমুল হুদাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষাক্ত রং কেমিক্যাল মেশানো ও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরী কৃত খাদ্য পরিবেশনে ডাইরিয়া স্বর্দি কাসি সহ ক্যান্সারের মত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই এসমস্ত খাদ্য পরিবেশন না করার জন্যও পরামর্শ দেন তিনি। পরর্বতিতে ফরহাদ হোসেন এব্যপারটি বুঝতে পেরে বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য চেষ্টা করেন । স্থানীয় আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা এবিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী এলাকা বাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.